আমার মাথাটা কেটে নিতে পারেন: মমতা

ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পরিকাঠামো ও শস্যের মোট ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ কোটি টাকা। এ নিয়ে কলকাতা ও অন্যান্য জায়গাতে বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন বহু মানুষ।

তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রের সরকার খুব ধীরে এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া জন অসন্তোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমি এ টুকুই বলতে পারি, আমার মাথাটা কেটে নিন।

সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দু’দিনের মধ্যে সব কিছু চাই? সেটা নিয়ে প্ররোচনা, উত্তেজনা ছড়াতে হবে? আমরা সময় পেলাম কখন? আপনারা চাইলে আমার মুন্ডু কেটে নিতে পারেন। জানি, মানুষের খুব দুর্ভোগ হচ্ছে। সে জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি। এত বড় দুর্যোগ আগে কখনও হয়নি। তাই বলছি, দয়া করে একটু ধৈর্য ধরুন।’’

নাম না করে বিজেপি-সহ বিরোধীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এখন ক্ষুদ্র রাজনীতির সময় নয়। সাম্প্রদায়িকতায় এখন সুড়সুড়ি দেবেন না।’’ ২০০৯-এর আয়লার প্রসঙ্গও টেনে এনে তিনি বলেন, ‘‘দুর্যোগ যখন আসে সহ্য করতে হয়। ধৈর্য ধরতে হয়। আয়লার সময় আমি কিন্তু সমালোচনা করিনি।’’

তিনি বলেন, ওই বিপর্যয়ের পরে দু’দিন কেটেছে। আমরা দিনরাত কাজ করে চলেছি। দয়া করে ধৈর্য ধরুন। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সব কিছু আবার স্বাভাবিক করতে।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

বারাকপুর-সোদপুর বাইপাসে জনতা পথ অবরোধ করলে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অবরোধ ছিল কসবা ও গড়িয়াতেও। হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়েও অবরোধ করা হয়।

প্রসঙ্গত, আম্ফানের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৮৬ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। রাজ্যের ছ’টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত কলকাতাও। বহু রাস্তায় এখনও জল জমে রয়েছে। রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছের সারি। নেই বিদ্যুৎ। মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।

এসএইচ-২২/২৪/২০ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)