মোবাইলের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী!

সিলেট নগরের শেখঘাটের কলাপাড়ায় মোবাইল ব্যবহার করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রাজনা চৌধুরী (২০) নামের এক নববধূকে হত্যা করেছেন স্বামী।

খবর পেয়ে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে রাজনা চৌধুরীর স্বামী লক্ষ্মণ দাশ পলাতক রয়েছেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মোবাইল ব্যবহার করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রাজনাকে হত্যা করেছে তার স্বামী। রোববার রাতেই তাকে হত্যা করা হয়। রাজনা চৌধুরীর বাবার বাড়ি নেত্রকোনার মদন থানার কদমশ্রী গ্রামে। স্বামীর বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। স্বামী লক্ষ্মণ দাশ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের গাড়িচালক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নগরের কলাপাড়ার ফজলুল হকের বাসায় ভাড়া থাকতেন এই দম্পতি। চলতি মাসের ৪ এপ্রিল এই বাসায় ওঠেন তারা। মাস খানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন লক্ষ্মণ ও রাজনা।

রাজনার বাবা সুভাষ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, মোবাইল ব্যবহার করা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে লক্ষ্মণ দাশ। রোববার রাতে রাজনা ও লক্ষ্মণের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করা নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর স্বামী-স্ত্রী নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় আমি বাসায় থাকলেও রাজনার মা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সকালে আমি দেখি ঘরের দরজা খোলা এবং লক্ষ্মণ বাসায় নেই। পরে মেয়ের কক্ষে গিয়ে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর দুপুরের দিকে আমার স্ত্রী হাসপাতাল থেকে এসে মেয়েকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, প্রাথমিভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাজনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলে, মাস খানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছেন এ দম্পতি। স্বামী লক্ষ্মণ দাশ স্ত্রীকে মোবাইল ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিল। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। রোববার রাতে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনার জের ধরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

বিএ-১৮/২২-০৪ (আঞ্চলিক ডেস্ক)